মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে এমপি পুত্র আসিফ খান একটি ভোট কেন্দ্রের ভিতরে যাওয়া আসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পরে খবর পেয়ে দ্রুত র্যাব, দাঙ্গা পুলিশ, ডিবিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এসময় জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে ১০৪নং নয়াকান্দি সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনে ১০৪নং নয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এমপি শাজাহান খানের পুত্র আসিফ খান তার লোকজন নিয়ে নৌকা প্রতীক রেজাউল করিম শাহিন চৌধুরীর পক্ষে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া আসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীক হাজ্বী মো. মহাসিন মিয়ার সমর্থক মিজানুর রহমানের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে মারাত্মক আহত সুমন শেখ ও এনামুল হককে রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং হারুন চৌধুরী, রিপন শেখ ও সাগর হোসেন উজির স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যাপারে আসিফ খান বলেন, আমি পর্যবেক্ষক কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলাম।
আনারস প্রতীক হাজ্বী মো. মহাসিন মিয়ার সমর্থক মিজানুর রহমান বলেন, আসিফ খান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করে জাল ভোট দেওয়ার পায়তারা করছিল। আমি বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা হয়।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: